









পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিরোধীদের রাস্তায় নামা থেকে শুরু করে প্রতীকী প্রতিবাদ সবই হল। কিন্তু অবস্থা যেই তিমিরে সেই তিমিরেই রইল। কমল না পেট্রোল-ডিজেলের দাম। তবে এদিন সাধারণ মানুষের ওপর চাপ না বাড়িয়ে স্থির রইল কাঁটা। অর্থাৎ গতকালের সঙ্গে আজ পেট্রোল-ডিজেল থাকছে একই।





কলকাতা সহ বেশিরভাগ বড় শহরে চিত্রটা একই। রবিবারের তুলনায় সোমবার নড়ন চড়ন হয়নি পেট্রোলের। কলকাতায় এদিন পেট্রোল কিনতে গিয়ে আপনাকে গুনতে হবে ৯১ টাকা ৭৮ পয়সা। ডিজেলের লিটার প্রতি দাম ৮৪ টাকা ৫৬ পয়সা।
তুলনামূলক সস্তা দিল্লি। সেখানে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ৯০ টাকা ৫৮ পয়সা, ডিজেলের দাম ৮০ টাকা ৯৭ পয়সা। মুম্বইতে পেট্রোল বিকোচ্ছে ৯৭ টাকা প্রতি লিটার, ডিজেলের দাম ৮৮ টাকা ৬ পয়সা প্রতি লিটার।
টানা ১২ দিন লাগাতার হারে পেটড়োল-ডীজেলের মূল্যবৃদ্ধির পরে এদিন থামল পেট্রোলের ঊর্ধগতি। তবে আগামীকাল হয়তো আবার লাফিয়ে চড়বে দাম।





বিরোধীরা পেট্রোল-ডিজেলের দর নিয়ে রাস্তায় প্রতিবাদে নামলেও তাতে খুব একটা কাজ হচ্ছে না। দিনের পর দিন মহার্ঘ্য হচ্ছে জ্বালানি। ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের মধ্যে। অন্যদিকে জ্বালানির খরচ বেড়ে ট্রান্সপোর্টে খরচ বেশি লাগলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও খুব শিগগিরি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনাকালে এমনিতেই গোটা দেশের আর্থিক অবস্থা ব্যাপকভাবে ধাক্কা খেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত কয়েক মাস ধরে ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় সরকার বাজেটেও ভঙ্গুর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নানা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছে। তবে এবার পেট্রোল-ডিজেলের লাগাতার দামবৃদ্ধি সব সম্ভাবনার পথকেই অবরুদ্ধ করে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।





কিছুদিন আগেই মধ্যপ্রদেশে পেট্রোলের দাম একশো টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ায় ভোপালের একটি পেট্রোল পাম্পে অভিনব প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন এক যুবক। একটি ক্রিকেট ব্যাট এবং হেলমেট নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এক যুবক। অর্থাৎ সেঞ্চুরি পার করে ফেলেছে পেট্রোল। দ্রুত তাঁর ওই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।














