









প্রেমের জোয়ারে ভাসানোর থেকে শুরু করে ,রান্না করা ,ঘর পরিষ্কার, বাজার করা ,সংসারের যাবতীয় কাজ কিছুই স্ত্রীকে করতে দিতেন না স্বামী। এবং ঝগড়াও করেন না,প্রথমে ভাল লাগলেও ক্রমশই বিষয়টি বিরক্তিকর হয় ওঠে স্ত্রীর কাছে। পরিস্থিতি এমন হয় ঝগড়ার জন্য স্বামীকে ইচ্ছে করেই রাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন স্ত্রী,তবুও লাভ হয়নি।





বরং আরও বেড়ে গিয়েছে ভালোবাসা স্ত্রীর প্রতি। এই আচরণে বিরক্ত হয়েই বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন নিয়ে আদালতে হাজির স্ত্রী। অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ফুজাইরা এলাকার শরিয়ায়। স্ত্রীর এই কাজে হতভম্ভ স্বামী। তিনি বলেছেন, ‘আমি তো কিছু খারাপ করিনি। একজন আদর্শ ও ভদ্র স্বামী হওয়ার চেষ্টা করেছিলাম।





একবার আমার স্ত্রী শরীরের ওজন নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। তাই ডায়েট চার্ট মেনে খাবার খেয়ে ও ব্যায়াম করে শরীরের মেদ ঝড়িয়েছিলাম। আমার মনে হয় বিয়ের প্রথম বছরেই সম্পর্ক গভীরতা ঠিক বোঝা যায় না। আরও কিছুটা সময় দেওয়া প্রয়োজন। প্রতিটি মানুষই তাঁদের ভুল থেকে শেখে।’





হতবাক হন বিচারকও। আদালতে দাখিল আবেদনে ওই মহিলা জানান একবছর আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। তার পর স্বামীর ভালবাসা দেখে আপ্লুত হয়ে উঠেছিলেন । কিন্তু ক্রমশই তা দমবন্ধ পরিস্থিতির সামিল হয়ে ওঠে।





মহিলা জানান, ‘বিয়ের পর থেকে একটা দিনও আমাদের ঝগড়া হয়নি। তাই আমি সবসময় প্রার্থনা করতাম যেন একদিনের জন্য হলেও অশান্তি হয়। ও আমাকে বকাবকি করুক। কিন্তু, কোনওদিনই এমনটা হয়নি। ফলে নিরুত্তাপভাবে কাটছিল আমার জীবন। বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হই।’





অদ্ভুত বিয়ে, ছেলের বিয়ে দিতে এসে পাত্রীকে বিয়ে করলেন ছেলের বাবা৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ বিয়ে করেছেন তাঁর ছেলের জন্য ঠিক করা ২১ বছর বয়সী পাত্রীকে ! সম্প্রতি অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পাটনার সমশটিপুর জেলায় ।





জানা গেছে, ৬৫ বছরের ওই ব্যক্তির নাম রোশান লাল, যিনি পাটনা শহরেই থাকেন । তিনি তাঁর ছেলের জন্য পাত্রী খুঁজছিলেন এবং অবশেষে ২১ বছর বয়সী স্বপ্নার সঙ্গে বিয়ের কথা পাকাপাকিও হয় । পাত্রী স্বপ্নাও একই এলাকায় থাকতেন ।





দুই পরিবারের সম্মতিতেই রোশান লালের ছেলের সঙ্গে স্বপ্নার বিয়ে ঠিক হয় । মহাধুমধামে শুরু হয় বিয়ের প্রস্তুতি । দুই পরিবারই নিমন্ত্রণপত্র বিলি করে । কথামতো বিয়ের দিন হলে উপস্থিত হন নিমন্ত্রিত অতিথিরাও । তবে, নববধূ আশা নিয়ে অপেক্ষা করলেও বরের হদিশ আর পাওয়া যায় না । পরে খোঁজাখুঁজি শেষে জানা যায়, বর তার প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়েছেন ।





ছেলে মেয়ের পরিবারের কেউই বিষয়টি জানতেন না । বিয়ের অনুষ্ঠানে অসংখ্য অতিথির সামনে দুই পরিবারই লজ্জায় পড়েন । রোশান লাল কনের মা-বাবাকে জিজ্ঞাসা করেন, এখন কী করা যেতে পারে ? স্বপ্নার মা-বাবা তাদের সম্মান বাঁচাতে চান এবং বলেন বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করা যাবে না। অবশেষে তাঁরা রোশান লালকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন তাদের কন্যাকে বিয়ে করেন ।





চিন্তিত রোশান লাল প্রথমে রাজি না হলেও পরে ২১ বছরের স্বপ্নাকে বিয়ে করতে রাজি হন। এ পরিস্থিতি দেখে নিমন্ত্রিত অতিথিরাও অবাক হয়ে যান।














