







মহামারি করো’নাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাক’সিন প্রাথমিক হিউম্যান ট্রায়ালে বিশ্বে প্রথমবারের মতো সফল হওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা স্পুটনিক-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশটির সেশনভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডি’কেল ইউনিভার্সিটির গবেষ’করা এ সাফল্য দেখিয়েছেন।




গত ১৮ জুন রাশিয়ার গামালেই ইনস্টি’টিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির তৈরি এই করো’না ভ্যাক’সিনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়েছিল। পরীক্ষায় সফলতার সঙ্গে ভ্যাক’সিনটি উত্তীর্ণ হয়েছে।




ইনস্টিটিউট ফর ট্রানস্লেশনাল মেডি’সিন অ্যান্ড বায়োটেকনোলজির পরিচালক ভাদিম তারাসোভ বলেন, করো’নার বিরুদ্ধে বিশ্বে প্রথমবার স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে সেশনভ ইউভিার্সিটি। ট্রায়ালে অংশ নেয়া স্বেচ্ছাসেবকদের প্রথম দলটিকে আগামী বুধবার (১৫ জুলাই) ছেড়ে দেয়া হবে। দ্বিতীয় দলটি আগামী ২০ জুলাই ছাড়া পাচ্ছে।




সেশনভ ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব মেডিকাল প্যারাসাইটোলজির পরিচালক আলেক্সান্দার লুকাশেভ বলেন, তাদের গবে’ষণার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল এটি মানব’দেহের জন্য নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করা; যা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।




তিনি আরও বলেন, ভ্যাক’সিনটি নিরাপদ তা নিশ্চিত হয়েছে। এটি বাজারের অন্য ভ্যাক’সিনগুলোর মতোই নিরাপদ।
এর আগে বিশ্বে প্রথম করো’নার ভ্যাক’সিনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে চীন। গত ২৯ জুন এ খবর দিয়েছিল ইয়াহু নিউজ। খবরে বলা হয়েছিল, দেশটির সেনাবাহিনীর গবেষণা শাখা এবং স্যানসিনো বায়োলজিকসের (৬১৮৫.এইচকে) তৈরি একটি কোভিড-১৯ ভ্যাক’সিন মানব শরীরে প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে।




তবে আপাতত ভ্যাকসিন শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যবহার করা হবে। স্যানসিনো বলেছে, চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন গত ২৫ জুন এডি৫-এনকোভ ভ্যাক’সিনটি সৈন্যদের দেহে এক বছরের জন্য প্রয়োগের অনুমোদন দেয়। স্যানসিনো বায়োলজিকস এবং একাডেমি অব মিলিটারির একটি গবেষণা ইনস্টিটিউট যৌথভাবে ভ্যাক’সিনটি তৈরি করেছে।




বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্যানসিনো বায়োলজিকস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভ্যাক’সিনটি চীনের বাইরেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হচ্ছে। ইতোমধ্যে কানাডায় পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমোদনে দেয়া হয়েছে। তবে চীনের লজিস্টিক সাপোর্ট বিভাগের অনুমোদনের আগে এটি ব্যাপকভাবে সাধারণ মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হবে না।




খবরে বলা হয়, বাণিজ্যিক কারণে ভ্যাক’সিনটি সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করা হবে না। এমনকি সেনাবাহিনীর সদস্যদের এই ভ্যাকসিন নেয়া বাধ্যতামূলক কিনা তাও প্রকাশ করা হয়নি।




কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনটি প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় দারুণভাবে সফল হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে ভ্যাক’সিনটি বাণিজ্যিকভাবে সফল হবে কিনা তা নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। সূত্র:somoynews











