







আমাদের দেশে যে প্রতিভার অভাব নেই, সেকথা স্পষ্ট হল আরও একবার। কর্ণাটকের মান্ড্যার বাসিন্দা বছর একুশের প্রতাপ এনএম ফেলে দেওয়া ই-বর্জ্য থেকে ৬০০ টি ড্রোন তৈরি করে ফেলেছে। যা দেখে অভিভূত দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। তাঁর প্রতিভা দেখে তাঁকে নিযুক্ত করতে চলেছে ডিআরডিও। যা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগেই। এছাড়াও সে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে উপযুক্ত পুরস্কারে সম্মানিতও হয়েছে।




এই যুবক প্রথমে অভাবী লোকদের সহায়তা করতে ই-বর্জ্য ব্যবহার করে ড্রোন তৈরি করে। পরে, তা আরও উন্নত করে ভারতীয় সেনার জন্য তৈরি করে। এই ছাত্র শুধু ভারত থেকেই নয়, গোটা বিশ্ব থেকেই তাঁর প্রতিভার স্বীকৃতি পেয়েছে। তাঁকে মাসিক কোটি টাকার চাকরির অফার দিয়েছে ফ্রান্স সহ ইউরোপের অনেক দেশ। কিন্তু নিজের দেশের মাটিতেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই প্রতিভাবান যুবক।




কর্ণাটকের মহীশুরের মান্ড্যা এলাকার; কাদাইকুড়ির প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম প্রতাপের। তাঁর কৃষক বাবার হিসাবে মাসিক আয় ২ হাজার টাকা। প্রতাপ শৈশব থেকেই; বিজ্ঞন ও ইলেক্ট্রনিক্সে আগ্রহী। দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময়ই সে সাইবার কাফে থেকে বিমান, স্পেস, রোলস রয়েস গাড়ি, বোয়িং ৭৭৭ ইত্যাদি; বিভিন্ন বিষয়ে জেনেছিল।




ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাইলেও আর্থিক অভাবের কারণে তাকে পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স নিয়ে পড়তে হয়। তবুও থেমে থাকেনি তাঁর লড়াই। একটা সময় ছিল যখন হোস্টেলের ফি না দেওয়ার কারণে তাঁকে হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। সে মহীশুর বাস স্ট্যান্ডে ঘুমাত এবং পাবলিক টয়লেটে কাপড় কেচে নিত।




কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজও শিখেছিল সে। এরপর ই-বর্জ্য থেকে ড্রোন তৈরি করার পরিকল্পনা তাঁর মাথায় আসে। ৮০ বার প্রয়াসের পরে সে এরকম একটি ড্রোন তৈরি করতে সফল হয়। তারপরেই জাপানে গিয়ে ড্রোন প্রতিযোগিতায় জিতে আসে সে। যেখানে বিশ্বের ১২৭ টি দেশ অংশ নিয়েছিল। তাকে কর্ণাটকের বিধায়ক ও সাংসদরা স্বীকৃতি দেন।




সে বর্ডার সিকিউরিটিতে টেলিগ্রাফি, ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য ড্রোনস, উদ্ধার কাজের জন্য মানুষ বিহীন বিমান বা ইউএভি এবং অটো-চালিত ড্রোন সহ ছয়টি দুর্দান্ত প্রকল্প সম্পন্ন করেছে। সে ড্রোন নেটওয়ার্কিংয়ে ক্রিপ্টোগ্রাফি নিয়ে কাজ করেছে; যাতে সেগুলি হ্যাক না হয়ে যায় এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায়। এবার ডিআরডিওতে যোগ দিয়ে নিজের অধরা স্বপ্ন পূরণ করে দেশের নাম বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করতে চলেছে কর্ণাটকের এই প্রতিভাবান তরুণ।











