







ভারতের বেঙ্গালুরুতে জন্মগ্রহণকারী এই ১৮৩ বছর বযসী ব্যক্তির নাম মহাশতা মুরাসি। তার নাতি-নাতনিরাও অনেকেই এখন আর বেঁচে নেই। অথচ মৃত্যু স্পর্শ করেনি মহাশতা মুরাসিকে। বৃদ্ধ বলেছেন, ‘যম বোধ হয় আমাকে নিতে ভুলে গেছে।’ শুধু ভারত নয়, সমগ্র বিশ্বে ১৮৩ বছরের কেউ বেঁচে থাকার খবর জানা নেই। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি ছিলেন ফ্রান্সের জিয়ানে লুইস কালমেন্ট।




ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেইলি রিপোর্ট ডট কমের দাবি অনুযায়ী মহাশতা মুরাসির জন্ম হয়েছে ভারতের বেঙ্গালুরুতে ১৮৩৫ সালের ৬ ই জানুয়ারি। তবে এই খবরের সত্যতা কতটা তা এখনও জানা যায়নি। ওই সংবাদ মাধ্যমটির দাবি, মুরাসি নাকি দুঃখ করে বলেন, ‘আমার চোখের সামনে আমার বহু নাতি-নাতনিরা মারা গেছে। কিন্তু আমাকে আজ পর্যন্ত মৃত্যু গ্রাস করেনি। আমি তাই মরার আশা ছেড়েই দিয়েছি।’




এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আগামী জীবনে তার কোন চাওয়া পাওয়া ও আশা নেই। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক ও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেতে চান তিনি। এর পরও সবকিছু মিলে ভালোই আছেন বলে জানান তিনি।




গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে দেখা গেছে, পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের নাম জিয়ানে লুইস কালমেন্ট। তার জন্ম ১৮৭৫ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি। এই নারী ফ্রান্সের নাগরিক ছিলেন। ৪ ঠা অগাস্ট ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।




যদিও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দাবির পক্ষে এখনও কোন জোরালো তথ্য মেলেনি। তার একটি ছবিই পাওয়া গেছে মাত্র। তবে সূত্র মতে, বেঙ্গালুরু থেকে ১৯০৩ সালে বারানসিতে এসে মুচির কাজ শুরু করেন মুরাসি। ১৯৫৭ সালে ১২২ বছর বয়সে এই কাজ থেকে অবসর নেন তিনি।




জন্ম প্রমাণপত্র এবং ভারতীয় কার্ড থাকলেও তার কোন মেডিক্যাল প্রমাণপত্র নেই। সর্বশেষ তিনি নাকি ১৯৭১ সালে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। এরপর আর কোন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হননি তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি যে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন, তিনিও মারা গেছেন। তাই তার বয়সের রহস্য জট রহস্যই রয়ে গেছে।











