







একদিকে মহামারীর ধাক্কায় থরহরি কম্পমান গোটা দুনিয়া। তারপর আর যা যা হচ্ছে তাতে খুব একটা সুখকর ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন না পৃথিবীর মানুষ। সুপার সাইক্লোন আমফান, দাবানল, বন্যার পর এবার খাঁডর ঘা পঙ্গপাল।
উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব সহ প্রায় গোটা উত্তর ভারত ক্রমশ ছড়িয়ে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ পঙ্গপাল। প্রচুর পরিমাণ খাদ্যশস্য খেয়ে ফেলছে তারা। এরকম অবস্থায় এক অলৌকিক যোগ খুঁজে পাচ্ছেন বিশ্বের মানুষ।




এরকম পঙ্গপালের হানার কথা নাকি উল্লেখ করা হয়েছিল বাইবেলে। গত কয়েকদিন ধরে সেই লাইনগুলি শেয়ার হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মানুষের ধারণা তৈরি হয়েছে, পঙ্গপালের হানা নাকি আসলে ধ্বংসের ইঙ্গিত!
গুগলে রীতিমতো ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে বাইবেলের ওই অংশ। প্রত্যেকে সার্চ করে দেখছেন, পঙ্গপাল নিয়ে আসলে কি লেখা হয়েছিল বাইবেলে। তবে কি সত্যিই পৃথিবী ধ্বংসের কোনো ইঙ্গিত আসছে? মহামারীর সঙ্গে এই পঙ্গপালের হানা দুয়ে দুয়ে চার হয়ে যাচ্ছে।




বাইবেলের অংশ ‘ওল্ড টেস্টামেন্টে’ একাধিক জায়গায় এই পঙ্গপালের উল্লেখ রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধ্বংসের ইঙ্গিত দিতে এই পঙ্গপালের কথা ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক সময়ই দেখা গিয়েছে ভগবান যদি খুব রেগে যান তখন মানুষকে শাস্তি দিতেই এমন পঙ্গপাল পাঠান।
বাইবেলের ‘বুক অফ এক্সোডাস’-এ রয়েছে এই সংক্রান্ত আরও একটা গল্প। সেই সময় মিশরের শাসক ফারাও ইসরায়েলিদের বন্দি করে রেখেছিলেন। ক্রীতদাস হিসেবে কাজে লাগাতেন তাদের। কোনভাবেই মুক্তি দিতে চাইতেন না। মিশরের মানুষ তাই ভগবানের থেকে শাস্তি পেয়েছিল। সেই সময় মিশরকে ১০ রকমের শাস্তি দিয়েছিল ভগবান। জল পরিণত হয়েছিল রক্তে, পোকা আর পঙ্গপালের ছেয়ে গিয়েছিল দেশ। প্রথম সন্তানের জন্ম হলেই তার মৃত্যু হতো। তবে আসলে কি এমনটা হয়েছিল? তার অবশ্য অনেক রকম ব্যাখ্যা আছে।




শুধু তাই নয়, ১৯৫৮ সালে নাইজেরিয়ান লেখক এর লেখা একটি উপন্যাসে রয়েছে পঙ্গপালের উল্লেখ। ‘থিংস ফল অ্যাপার্ট’ নামে ওই উপন্যাসে ধ্বংসের প্রতীক হিসেবে পঙ্গপালের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
যদিও অলৌকিক যুগের কথা তর্কসাপেক্ষ, তবে একথা বলাই যায় যে মানব সভ্যতার প্রায় শুরু থেকেই রয়েছে এই পঙ্গপাল। বরাবরই মানুষের খাদ্য শস্য খেয়ে শেষ করে ফেলা এদের কাজ। তাই একে ধ্বংসের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।











