







স্কুল কবে খুলবে তা স্পষ্ট নয়। এদিকে অনলাইন ক্লাস করিয়ে একের পর এক চ্যাপটার শেষ হয়ে যাচ্ছে স্কুলে। কিন্তু এমন পরিবারের পড়ুয়াও রয়েছে যাদের পরিবারে অ্যান্ড্রয়েড ফোন এখনও বিলাসিতা। অর্থনৈতিক কারণে তা কেনা সম্ভব নয়। তাহলে কি তারা পড়াশোনা করবে না? নাকি সমাজের মতোই তারা এখেত্রেও পিছিয়েই যাবে! তা কেন? এগিয়ে এসেছেন দুই ষাটোর্দ্ধ মহিলা।




ওঁরা জানাচ্ছেন , ‘অনলাইন পড়াশোনার জন্য ভালো নেট কানেকশনওয়ালা মোবাইল প্রয়োজন। যারা কোনমতে পেটের ভাত জুটিয়ে পড়াশোনা করাচ্ছে সরকারি স্কুলে কোথা থেকে পাবে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ? স্কুল না খোলা অবধি কি তাহলে পড়াশোনায় ইতি?’ তমিশ্রা ও মঞ্জু দেবী বলছেন, ‘পড়া যেন না থামে। ‘ কী করছেন তাঁরা? পরিচিতদের থেকে চেয়ে নিচ্ছেন এক্সট্রা মোবাইল। আর্জি জানিয়ে বলছেন, ‘যতদিন না স্কুল খোলে আমার আর তোর ফোনটা যদি কোন মেধাবী ছাত্রর কাজে লাগে, লাগুক না।’ দুঃস্থ পড়ুয়াদের ‘সুস্থ’ পড়াশোনার জন্য এমনই ‘সলিউশন’ এনেছেন দুই ষাটোর্দ্ধ বান্ধবী।




ওঁরা নিজেদের বাড়িতে থাকা বাড়তি ফোন আগেই দিয়েছেন। তারপর চেনা পরিচিতদের কাছে হাত পাতছেন। কোনও রাখঢাক না করে কম দামে সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। দুই বান্ধবীর কলকাতায় বেড়ে ওঠা। একজন পরিবার নিয়ে প্রবাসী। মা-কে দেখতে এসে আটকে পড়েছেন লকডাউনে। আটকে পড়ে বরং ভালোই হয়েছে মনে করছেন ওঁরা। না হলে কে ভাবত ওই দুঃস্থ পড়ুয়াদের কথা? বসে না থেকে চেনা ছেলে মেয়েদের নিয়ে টিম বানিয়ে কলকাতা থেকে সুন্দরবন।




দেখলেন হাজারও এমন পড়ুয়ার স্কুল বন্ধ বলে বন্ধ পড়াশোনাও। কারণ জিজ্ঞাসা করে জানতে পেরেছেন মোবাইল নেই বলে। স্কুলে তো অনলাইন ক্লাস হচ্ছে। ওঁদের ভালো মোবাইল নেই তাই ক্লাসও নেই। পড়াশোনা লাটে উঠেছে। তখনই দুই বন্ধু মিলে ঠিক করে নেউ এই নতুন ধরণের কার্যক্রম। পরিচিতিদের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন চালু পুরনো স্মার্ট ফোনের। খোঁজ পেলেই অল্প দামে কিনে নিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার এমনই দিয়ে দিচ্ছেন। আর সেই সব ফোন চলে যাচ্ছে ওই পড়ুয়াদের হাতে। তমিশ্রা-মঞ্জু সম্প্রতি একটু হেল্প লাইন নম্বরও চালু করেছেন। আর্জি, কারোর ঘরে অতিরিক্ত একটা ফোন যদি থাকে প্লিজ তুলে দিন কোন ছাত্রের হাতে। সঙ্গে আবার দুঃস্থদের হাতে তুলে দিয়ে এসেছেন চাল , ডাল, মাস্কও।











