







মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা সাংবাদিক বৈঠকে জানান, পশ্চিমবঙ্গে এই পর্যন্ত মোট ৬১৮২ টি স্যম্পেল পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি জানান এখনও পর্যন্ত ৫ হাজার ১৬ জন সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ও ৩৩ হাজার ৩০৫ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ১৬৪০ জনকে সরকারি কোয়ারেন্টাইন থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ৯ টি জেলা থেকে করোনা সংক্রমনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।




রাজীব বাবু এদিন জানান, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে গত ১৯ তারিখ করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসায় জেলাটি রেড জোনে পরিণত হয়। পূর্ব মেদিনীপুরকে অরেঞ্জ জোনে ফিরে আসতে গেলে আরও ১৪ দিন লাগবে। ১০টি জেলা রয়েছে অরেঞ্জ জোনে। এবং ৯টি জেলা রয়েছে গ্রিন জোনে।




তবে রেড জোনে রয়েছে চারটি জেলা কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিন ২৪ পরগণা। মুখ্যসচিব সাংবাদিক বৈঠকে জানান হাওড়া, কলকাতা ও দুই ২৪ পরগণা থেকেই সবথেকে বেশি করোনা সংক্রমন হচ্ছে। ফলে এই কটি জেলাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।




রাজ্য সরকারের কড়া সতর্কতার পরও বহু মানুষ সচেতন হননি। বাজারের ব্যাগ হাতে খোশমেজাজে বাজার করতে দেখা গিয়েছে অনেককে। অন্যদিকে শক্ত হাতে হাল ধরেছেন প্রশাসন। রেড জোনগুলিকে বিশেষ ভাবে নজরে রাখা হচ্ছে। ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি করছেন পুলিশ। বেগরবাই দেখলেই বেদম প্রহার চলছে। আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেন।




সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা আরও জানান, এখনও ২২০ টি র্যপিড টেস্ট করানো হয়েছে। আগামী দিনে টেস্টের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। মালদাতেও করোনা মোকাবিলা করতে র্যপিড টেস্টের কাজ চলছে। ৭৪ টি টেস্ট করানো হয়েছে মালদায়। এর সবকটিই নেগেটিভ আসে। রাজীব বাবু দাবি করেন, এ রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মীদের হাতে ৪ লক্ষেরও বেশি পিপিটি কিট দেওয়া হয়েছে। এমনকি করোনা পরীক্ষার জন্য আরও দুটি নতুন ল্যাব খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।











