







করোনার থাবায় ত্রস্ত গোটাদেশ। হু-হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশজুড়ে জারি রয়েছে লকডাউন। তবুও স্বস্তি নেই আমজনতার। পৃথিবীর এই কঠিন অসুখে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে বহু সংস্থা। ঠিক একইভাবে দেশের এই কঠিন সময়ে দেশবাসীর পাশে এসে দাঁড়াল দেশের অন্যতম বৃহত প্রতিরক্ষা বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় তৈরি করা হচ্ছে প্রায় ৫ হাজার ভেন্টিলেটর মেশিন।




যা দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দান করা হবে অসহায় মানুষের চিকিৎসায়। যাতে চিকিৎসার পরিকাঠামোর অভাবে কোনও প্রান যাতে অকালে ঝড়ে না যায় সেদিকে তাকিয়েই দেশের বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার। শুধু ভেন্টিলেটরই নয়, দেশের কঠিন সময়ে একের পর এক চিকিৎসা সামগ্রী তৈরি করছে ডিআরডিও। এই বিষয়ে ওই সংস্থার চেয়ারম্যান ড: জি সতীশ রেড্ডি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মাইশোরে অবস্থিত তাদের এই সংস্থা করোনায় আক্রান্তের রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রায় ৫ হাজার ভেন্টিলেটর মেশিন উৎপাদন করছে।




শুধু তাই নয়, তাদের এই উৎপাদন কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারত ইলেকট্রনিক্স নামের অন্য একটি প্রাইভেট কোম্পানিও। রেড্ডি আরও জানিয়েছেন, এবার থেকে তাদের সংস্থা প্রতিমাসে ৫০০০ ভেন্টিলেটর তৈরি করবে। পরবর্তীকালে চাহিদা অনুসারে উৎপাদন বাড়িয়ে ১০ হাজারও করা হতে পারে। শুধু তাই নয়, প্রতিরক্ষা বিষয়ক এই গবেষণা সংস্থা ইতিমধ্যে প্রায় ২০ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইসর তৈরি করে ফেলেছে। যেগুলি দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতাল, সামাজিক সংস্থা এবং দিল্লি পুলিশের মধ্যো বিতরণ করা হয়েছে।




এছাড়াও করোনা মোকাবিলায় সরকারকে সাহায্যের উদ্দেশ্যে, তাদের এই সংস্থা এন৯৯ এর প্রায় ২০হাজার মাক্স ও তৈরি করেছে। যেগুলি দিল্লি পুলিশ সহ বিভিন্ন এজেন্সির মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাদের এই সংস্থা খাদ্য নিয়েও গবেষণা করে। এই কঠিন সময়ে কোনও মানুষ যাতে অনাহারে না মারা যান সেজন্যে এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা চালাচ্ছে এই সংস্থা।




দেশকে শত্রুদের হাত থেকে বাঁচতে সারা বছরই বিভিন্ন সমরাস্ত্র নিয়ে গবেষণা চালায় এই সংস্থা। তবে দেশের এই পরিস্থিতিতে সমরাস্ত্র নয়, চাই ভেণ্টিলেটর। তাই সব ভুলে সেটাই তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা।











