







লকডাউনের মধ্যেই বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছে কলকাতাবাসী। ফের এক মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছে মানুষ৷ রাতের কালো আকাশে মহাজাগতিক আলোর খেলা দেখা যাবে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার। রাতের আকাশে দেখা যেতে পারে উল্কাবৃষ্টি৷ গভীর রাতের আকাশে শুরু হবে এই আলোর মায়াবী খেলা। এমনটাই জানা যাচ্ছে।




আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, প্রতি ঘণ্টায় ২০ অথবা তার বেশি সংখ্যক আলোর বিন্দু জ্বলে উঠবে আকাশে। প্রতিবছরই এই সময়ে উল্কাবৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে, এই সময়েই মহাকাশের ওই আবর্জনা স্তূপের পাশ দিয়েই ঘোরে পৃথিবী। তাই এই সময়েই মহাকাশের ওই অংশের আলোর মায়াবী খেলা দেখতে পেতে পারেন পৃথিবীর মানুষ।




নাসার ধূমকেতু সংক্রান্ত বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী বিল কুকের কথায়, ‘সাধারণ মানুষ যে আলোটা দেখেন, সেটার ব্যাসার্ধ এক সেন্টিমিটারের বেশি কিছুতেই নয়৷ এই টুকরোগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম থাকে৷ তাই আলোটা অনেকটা হলদেটে হয়। তবে কোনও কোনও টুকরোর রাসায়নিক গঠন অন্যরকম হয়৷ যেমন, তার মধ্যে সোডিয়াম ছাড়াও ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন ইত্যাদি থাকে৷ তার সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের সংঘর্ষে অন্য রঙের আলো দেখা যেতে পারে।’




পৃথিবীর কোন অংশ থেকে দেখা যাবে এই দৃশ্য?
আকাশ পরিষ্কার থাকলে এবারের উল্কাবৃষ্টি কলকাতা–সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশবাসীকে নিরাশ করবে না। জানা গিয়েছে, এই মহাজাগতিক ঘটনা ঘটতে চলেছে ২২ এপ্রিল রাত থেকে ২৩ এপ্রিল ভোর পর্যন্ত। ২২ তারিখ রাত সাড়ে আটটা থেকেই শুরু হয়ে যাবে উল্কাপাত। তবে রাত যত বাড়বে উল্কা দর্শন আরও পরিষ্কার হবে। বুধবার মধ্যরাত্রেই উল্কাবৃষ্টি সবচেয়ে বেশি চাক্ষুষ করতে পারবেন মানুষ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিষ্কার আকাশে সবচেয়ে ভাল উল্কাবৃষ্টি দেখা যায়৷




জ্যোতিবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সারারাত ধরেই চলবে এই উল্কাপাত৷ ঘণ্টায় ২০টি উল্কাপাত ঘটতে পারে বলে মনে করছেন জ্যোতিবিজ্ঞানীরা। ফলে আর কি রাত জাগার জন্যে তৈরি হন। আর যেহেতু কোন নির্দিষ্ট জায়গার কথা বলা হয়নি তাই কলকাতার যে কোনও জায়গা থেকে দেখা যেতে পারে এই মহাজাগতিক দৃশ্য। এমনটাই মত জ্যোতিবিজ্ঞানীদের।




জ্যোতিবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, খালি চোখেও এই দৃশ্য আকাশে দেখা যাবে৷ পাশাপাশি যদি বাইনোকুলার দিয়ে দেখা হয় তাহলে সেটি আরও স্পষ্ট হবে। উত্তর-পূর্ব আকাশে এই দৃশ্য দেখা যাবে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে আকাশ যদি মেঘলা থাকে তা এই বিরল ঘটনা কতটা দেখা যাবে তা নিয়ে একটা সন্দেহ রয়েছে।











