







রাসায়নিক কারখানায় জরুরি অবস্থার ভিত্তিতে কাজ চলছিল। কারখানাটির এক প্রান্তেই হ্যান্ড ওয়াশ ও স্যানিটাইজারের কারখানা। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে এই দুটি জিনিসের চাহিদাই এখন তুঙ্গে। তাই কাজ চলছিল দ্রুতগতিতে। আচমকাই বিপত্তি।
সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ মহারাষ্ট্রের পালঘরের তারাপুরে এই বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই শ্রমিক। গুরুতর আহত হন একজন। বইসার এনআইডিসি থানার ইন্সপেক্টর প্রদীপ কাসবে জানান, যে দুজন শ্রমিক মারা গিয়েছেন, তাদের নাম ও পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। একজন হলেন বছর চুয়াল্লিশের বিজয় সাওয়ান্ত। বাড়ি বইসারের পাস্তালে। অপর নিহত শ্রমিকের নাম সমীর খোজা। ৪৮ বছরের সমীরের বাড়ি পালঘরে।




বইসারের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে গুরুতর আহত রুনাল ঠাকুরকে। ৩৫ বছরের রুনালের বাড়ি ওই এলাকাতেই, বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই কারখানায় কাজ করেন মোট ২৫০ জন কর্মী। তবে লকডাউনের জন্য পালঘরের কালেক্টর ১০৫ জন কর্মীকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বিস্ফোরণের শব্দ শোন যায় ৫ কিমি দূর থেকেও। বিস্ফোরণের পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন।




এদিকে, সোমবার নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৮২ জন, যাদের মধ্যে ৫৯ জন মুম্বইয়ের, এদিনের সংখ্যা মিলিয়ে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মহারাষ্ট্রে বেড়ে ২০৬৪।




মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, “সোমবার নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৮২ জন, যাদের মধ্যে ৫৯ জন মুম্বইয়ের, এদিনের সংখ্যা মিলিয়ে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মহারাষ্ট্রে বেড়ে ২০৬৪।”




পাহপাশি বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন জানিয়েছে, আরও একজনের নতুন করে মৃত্যুতে ধারাভিতে মোট মৃতের সংখ্যা পাঁচ। মদিনা নগর, জনতা কোঅপারেটিভ হাউসিং সোসাইটি এবং ধারাভির গুলমোহর চল থেকে আরও তিনজন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।











