







চিন থেকে সরেছে করোনার কালো মেঘ। উঠে গেছে লকডাউনও। তাই ছন্দে ফিরছে চিন। কিন্তু ছন্দে ফেরার নামে সে আবার একই ভুল করছে চিন? লকডাউন ওঠার পরেই চিনে খুলছে নানান বাজার, মার্কেট। সাধারণ মানুষও বাজারে বেরোচ্ছন। কিন্তু এরই মধ্যে চিন খুলেছে ‘ওয়েট মার্কেট’, আর এতেই চটেছে মার্কিন মুলুক। দাবি করা হচ্ছে, এই মার্কেট থেকে পুনরায় রোগ সংক্রমণ হতে পারে, তাই বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ এই মার্কেট।




ওয়েট মার্কেট আসলে কী? অনেকের বক্তব্য এই বাজারের বিশেষত্বই হল জল। তাই এহেন নামকরণ করা হয়েছে। এই ওয়েট মার্কেটে খোলা ভাবেই জীবন্ত অথবা মৃত পশু বিক্রি করা হয়। বন্য পশু কেটে সেই মাংস তাজা রাখতে বরফ গলিয়ে মাংসের ওপর বরফগলা জল দেওয়া হয়, একই ভাবে সিফুডগুলিতেও অনবরত জল ছেটানো হয়। সারা বাজারের তাপমাত্রা যাতে ঠান্ডা থাকে, সে কারণে বরফ গলিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সারা বাজারে।




করোনা ভাইরাসের দাপটে চিন সরকার সব রকমের বন্যজন্তু বিক্রি ও খাওয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু করোনার প্রকোপ কমতেই চিত্রটা সেই একই। খুলছে ওয়েট মার্কেটের দোকান, আসছে ক্রেতারা, চলছে কেনাকাটা। রমরমিয়ে চলছে বিকিকিনি। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে অন্য দেশগুলি।
বিশ্বের বহু দেশের দাবি, চিনের উহানের পশু মার্কেট থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল মারণ করোনা ভাইরাস। এরপর যদি আবার এই ওয়েট মার্কেটে চিন না লাগাম দেয় সেক্ষেত্রে আবার সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি করছে অন্য দেশগুলি। শুক্রবার এই একই দাবি করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও।




চিনা রাষ্ট্রদূত কুই তিয়ানকিকে চিঠি লিখে মার্কিন সেনেটরা জানিয়েছেন, বিশ্ববাসীর স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার কথা ভেবে চিনের উচিৎ এখন এই ধরনের বাজার বন্ধ করে দেওয়া।




উল্লেখ্য, করোনা থেকে হয়তো কিছুটা শিক্ষা নিয়ে গোটা চিন জুড়ে বন্ধ করা হয়েছে কুকুরের মাংস বিক্রি। বাকি বিশ্বের মতো পোষ্য হিসেবেই কুকুরকে স্বীকৃতি দিয়েছে চিন। চিনা গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘লাইভস্টক’ হিসেবে আর কুকুরকে গণ্য করা হবে না। অর্থাৎ প্রাণিসম্পদের তালিকা থেকে সরিয়ে কুকুরকে পোষ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বেজিং।




এর আগে চিনের শেনজেন শহরে নিষিদ্ধ হয় কুকুর-বিড়ালের মাংস বিক্রি। শহরের একটি নির্দেশে বলা হয়েছিল, “পোষ্য প্রাণী হিসেবে কুকুর এবং বিড়ালের সঙ্গে মানুষের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অনেক বেশি। উন্নত দেশগুলিতে এমনকি হংকং এবং তাইওয়ানে কুকুর এবং বিড়াল ও অন্যান্য পোষা প্রাণীর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। মানব সভ্যতার চেতনার কথা মাথায় রেখে আমরাও কুকুর ও বিড়ালের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করছি।’ সেই শেনজেন শহরের রাস্তাতেই হাটল এবার গোটা চিন।











