







হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন অনেকক্ষণ ধরে। পাঁচদিন দেখেননি স্ত্রীকে। সঙ্গে চার বছরের ছোট্ট শিশু। অবশেষে দেখা হল। তবে অনেক দূর থেকে। কাছে যাওয়ার উপায় নেই যে। করোনা ভাইরাসের মারণ রোগের মোকাবিলায় ব্যস্ত তাঁর স্ত্রী। পেশায় নার্স। লড়াই করছেন তিনি রোগিদের বাঁচাতে। পরিবার বোঝে সেকথা। আতঙ্ক, প্রিয়জনকে কাছে না পাওয়ার কষ্ট সরিয়ে দেশের মানুষকে সুস্থ করে তোলার অসম প্রতিযোগিতায় নেমেছেন নার্স সুগন্ধা।




কিন্তু শিশু মন বোঝে কি? সে শুধু বোঝে মা নেই কাছে। পাঁচ রাত, পাঁচ দিন চার বছরের শিশু কাছে পায়নি মায়ের উষ্ণতা, জড়িয়ে আদর করার ওম। দূর থেকে দেখে মন ভরে না যে। হাসপাতালের বাইরে মা বেরোতেই চিৎকার করে কান্না শুরু করে চার বছরের প্রাণ। মাকে চাই তার। কিন্তু তার উপায় নেই। এমনই রোগের সঙ্গে লড়াই করছে তাঁর মা, যেখানে কাছে যাওয়ার অনুমতি নেই সন্তানের।




কর্ণাটকের বেলগামের এক হাসপাতালের নার্স সুগন্ধা পাঁচ দিন পর দেখতে পেলেন তাঁর কন্যা সন্তানকে। বাড়িতে না দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে মাকে দেখতে চাওয়া বায়না জোড়ে। বাধ্য হয়েই হাসপাতালের কাছাকাছি নিয়ে যেতে হয় পরিবারকে। তবে দূর থেকে মাকে দেখে বিন্দুমাত্র সন্তুষ্ট নয় ওই শিশু। কে তাকে বোঝাবে, যে কাছে যাওয়া কোনওমতেই সম্ভব নয়।




দূর থেকে মা আর সন্তানের এই কাছে পেতে চাওয়ার দৃশ্য মন ভিজিয়ে দিয়েছে নেট দুনিয়ার। মাকে দেখেই কাঁদতে শুরু করে মেয়ে। চিৎকার করে বলতে থাকে মা প্লিজ ফিরে এসো। কান্নায় ভেঙে পড়েন মাও। ওই ভিডিওটি পৌঁছেছে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুারাপ্পার কাছেও।




ওই নার্সের কাজের প্রতি আনুগত্য মুগ্ধ করেছে মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি এক বার্তায় ওই নার্সকে সাহস জুগিয়েছেন। তিনি বলেন পরিস্থিতি খুব দ্রুত স্বাভাবিক হবে। সবাই একযোগে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করলে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয় আসবেই।











