







করোনার প্রকোপ ও ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা দেখে মাস্ক নিয়ে মত বদলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’। বাইরে বেরলে মাস্ক পরার নিদান দিয়েছে তারাও। কিন্তু বাজারে মাস্কের আকাল। অগত্যা বিপদ থেকে বাঁচতে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন মাস্ক।
কী ভাবে বানাবেন ঘরোয়া উপায়ে কাপড়ের মাস্ক?
উপকরণ
টি শার্ট অথবা রুমাল
কফি ফিল্টার বা পেপার টাওয়েল




কাঁচি
রাবার ব্যান্ড
সেফটি পিন
টি শার্ট দিয়ে কী ভাবে?




• ১০০ শতাংশ সুতির টি শার্ট ব্যবহার করলেই ভাল। তবে লক্ষ্য রাখবেন, এটি যেন খুব পাতলা না হয়। একে মুখোশের আদলে ভাঁজ করুন। ইস্ত্রি করার মতো করে চেপে দিন, যাতে ভাঁজের দাগটা খুব স্পষ্ট থাকে।
• এমন ভাবে ভাঁজ করুন যাতে শার্টের বগলের নীচের অংশ মাস্কের ‘বটম লাইন’ করুন। মুখে চাপা দেওয়ার অংশ যেন চওড়া হয়।
• এমন ভাবে এ বার টি শার্টটি কাটুন, যেন মাস্কটির দুই স্তর থাকে।




• নীচের দিকটি মুড়ে সেফটিপিন দিয়ে নিন ও পেপার টাওয়েল ও কফি ফিল্টার রাখুন এই টি শার্টের দুই স্তরের মাঝে। সেটিকেও সেফটিপিন দিয়ে জুড়ে নিন।
• এই মাস্ক নাক-মুখ যেন ভাল করে ঢাকে, সে দিকে লক্ষ্য রাখুন। এ বার নাক-মুখ ঢেকে পরে নিন। উপরের দিকটি আপনার মাথার পিছনের দিকে বেঁধে নিন। পিছনের দিকটি টেনে বাঁধুন ঘাড়ের দিকে। যত কষে বাঁধবেন, তত আপনি নিরাপদ। তবে কষ্ট যাতে না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।




রুমাল দিয়ে কী ভাবে?




• রুমাল ভাঁজ করে নিন। কোণাকুণি ভাঁজ করুন। ইস্ত্রির মতো করে চেপে দিন, যাতে ভাঁজের দাগটা খুব স্পষ্ট থাকে।
• পেপার টাওয়েল বা কফি ফিল্টার রাখুন ওই রুমালের মাঝে। জুড়ে দিন সেফটিপিন দিয়ে।
• রুমালের ধার ঘেঁষে দুটো রাবার ব্যান্ড রাখুন। প্রতিটার মধ্যে দূরত্ব থাকুক ছ’ইঞ্চি।




• এ বার রুমালের বাঁ দিক ও ডান দিকের কোণা মুড়ে মাঝ বরাবর আনুন।
• ডান দিকের কোণাকে বাঁ দিকের কোণার মধ্যে থাকা কাপড়ের ভাঁজে ঢুকিয়ে দিন।
• এ বার বেঁধে নিলেই তৈরি মাস্ক।




কাপড়ের মাস্কের সুবিধা হল, ফেলাফেলির ঝঞ্ঝাট নেই। বাড়ি এসে ভাল করে সাবানে কেচে চড়া রোদে শুকিয়ে নিন। ৭০ শতাংশের বেশি সুরক্ষা দিতে পারে এই মাস্ক। কোনও রকম সেলাই ছাড়াই বানানো যায় এই মাস্ক।
কী ভাবে পরতে হবে
গরম সাবান জলে কেচে জীবাণুমুক্ত করে, অন্তত ৫ ঘণ্টা শুকিয়ে নিন।
গরম নুন-জলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন।




পরা-খোলার নিয়ম
• সাবানে হাত ধুয়ে মুখোশ পরতে হবে।
• মুখোশে যেন নাক ও মুখ ঢাকা পড়ে।




• উল্টো পিঠ ব্যবহার করা যাবে না।
• অন্যের মুখোশ পরা যাবে না।
• না-কেচে একই মুখোশ দু’বার পরা যাবে না।
• মাস্কের সামনে হাত দেবেন না। কথা বলার সময় নামিয়ে দেবেন না। কোনও কারণে হাত দিতে গেলে আগে হাত ধুয়ে নেবেন। ধুতে হবে হাত দেওয়ার পরেও।
• মাস্ক খোলার সময় প্রথমে পিছনের অংশ খুলে নেবেন, নাক-মুখের দিকের অংশে হাত দেবে না।











