







ইতিমধ্যেই ২০ কোটি মহিলার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছে মোদী সরকার। তাই গুজবে কান না দিতে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করল অর্থমন্ত্রক। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, আরও ৫০০, ৫০০ করে হাজার টাকা জনধন অ্যাকাউন্টে আগামী দু’মাসে পাঠাবে কেন্দ্র।




জনধন যোজনায় সব থেকে বেশি অ্যাকাউন্ট রয়েছে দেশের অন্যতম ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায়। অর্থমন্ত্রকের মতো তাঁরাও জানিয়েছে, কোনও গুজবে কাউ কান দেবেন না। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে গুজব রটেছিল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া ওই টাকা তোলা না হলে তা সরকার কেড়ে নেবে। কিন্তু এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়ে অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, যে টাকা দেওয়া হয়েছে, তা ফিরিয়ে নেবার কোনও প্রশ্নই নেই। এবং আরও ১০০০ টাকা যে দেওয়া হবে সে ব্যাপারেও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।




দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া গুজবের জেরে দলে দলে লোক ব্যাংকে একসঙ্গে টাকা তুলতে পৌঁছায়। ফলে শিকেয় ওঠে সামাজিক দূরত্ব। আর তাই বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে সোজাসাপ্টা কথা বলে সাধারণ মানুষকে গুজবে কান দিতে বারোন করেছে অর্থমন্ত্রক।
ডিপার্টমেন্ট অফ ফিন্যান্স সার্ভিস একটি টুইট করে জানিয়েছে, সরকার এপ্রিল মাসের জন্য যে টাকা পাঠিয়েছে, তা উপভোক্তারা যে কোনও সময় তুলতে পারেন। কোনও নির্দিষ্ট সময় এক্ষেত্রে বাঁধা নেই। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এপ্রিলের মতো মে, জুন মাসেও টাকা পাঠাবে সরকার।




প্রসঙ্গত, লকডাউনের মধ্যে মহিলাদের সাহায্য করতে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জনধন অ্যাকাউন্ট হোল্ডার এমন ২০ কোটি মহিলার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছে মোদী সরকার। ব্যাঙ্কের খাতায় ৫০০ টাকা করে পাঠিয়েছে মোদী সরকার।




করোনা ভাইরাসের জন্য ইতিমধ্যে দেশ লকডাউন। আর এর মধ্যেই আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন মোদী। এজন্য সরকার ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক হোল্ডারদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছে। এই টাকা আসার প্রথম কিস্তি শুরু হয়েছে এ মাসেই। আগামী আরও ২ মাস এই টাকা দেবে কেন্দ্র।




যে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের ব্যাঙ্কের বইয়ের নম্বর ০ বা ১, তারা ৩ এপ্রিল অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়েছে। যে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের ব্যাঙ্কের বইয়ের নম্বর ২ বা ৩, তারা ৪ এপ্রিল অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়েছে। যে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের ব্যাঙ্কের বইয়ের নম্বর ৪ বা ৫, তারা ৭ এপ্রিল অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়েছে। যে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের ব্যাঙ্কের বইয়ের নম্বর ৬ বা ৭, তারা ৮ এপ্রিল অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়েছে। যে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের ব্যাঙ্কের বইয়ের নম্বর ৮ বা ৯, তারা ৯ এপ্রিল অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়েছে।











