







গোটা বিশ্বে মহামারীর আকার নিয়েছে করোনা ভাইরাস। মারণ এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাদ যায়নি ভারতও। ক্রমশ বেড়েই চলছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। গোটা দেশের পাশাপাশি এই রাজ্যেও ক্রমশ বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। যা যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের কাছে। এই পরিস্থিতিতে যথেষ্ট লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে পথে নেমেছেন। কথা বলছেন ডাক্তারদের সঙ্গে।




ইতিমধ্যে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে বিশেষ কমিটি তৈরি করেছেন। এবার সুস্থ হয়ে ওঠা করোনাভাইরাস রোগীদের রক্ত সংগ্রহ করবে রাজ্য সরকার। আর তা ব্যবহার করে অসুস্থতদের চিকিৎসা করার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।




ইতিমধ্যে আমেরিকা এবং কানাডা—এই দুটি দেশই চিনের গবেষণাকে আশ্রয় করে সুস্থ হয়ে ওঠা করোনা রোগীদের রক্তের প্লাজমা ব্যবহার করতে চলেছে আক্রান্তদের শরীরে। দেশের বহু নামকরা বিজ্ঞানী ও গবেষকের দাবি মেনে আমেরিকার ওষুধ সংক্রান্ত সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউএসএফডিএ সম্প্রতি আক্রান্তদের রক্তের প্লাজমাকে ‘পরীক্ষামূলক নতুন ওষুধ’ হিসেবে ছাড়পত্রও দিয়েছে। এই পদ্ধতিকে অনেকে ‘প্যাসিভ অ্যান্টিবডি থেরাপি’ও বলে থাকেন।




রোগাক্রান্ত হলে মানুষের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অসুখের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অ্যান্টিবডি তৈরি করে। করোনার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে সুস্থ হয়ে ওঠা আক্রান্তের অ্যান্টিবডি-সমৃদ্ধ প্লাজমা বাইরে থেকে দিয়ে শরীরকে লড়াইয়ের অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। এবার সেই পদ্ধতি বাংলাতেও কাজে লাগানোর ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে।




করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যে আট সদস্যের উপদেষ্টা বোর্ড তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বোর্ডের অন্যতম আহ্বায়ক ডাক্তার অভিজিৎ চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে চিন ও আমেরিকায় কিছুটা সফলতা এসেছে বলে জানিয়েছে অভিজিতবাবু।




তথ্য বলছে, চিন এই বিষয়ে অনেকটাই এগিয়ে। চিনে সুস্থ হওয়া লোকদের থেকে ২০০ মিলিলিটার প্লাজমা নিয়ে দশজন অসুস্থকে দেওয়া হয়েছিল। এরপর তাদের ইমিউনিটি অনেকটা বৃদ্ধি পায় ও খুব দ্রুত তারা সুস্থ হয়ে ওঠেন। যা ছিল চিনের করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রথম ধাপ।




তবে শরীরের কোন ধাপ পর্যন্ত এই প্লাজমা দেওয়া উচিৎ তা অবশ্যই বুঝতে হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এপ্রসঙ্গে বলেন, আমরা কর্ড ব্লাড ব্যাঙ্ক করেছি। সেখানে ১০০টি বেড রয়েছে। প্লাজমা বদল করলে অনেকেই সুস্থ হয়ে যান। গবেষকরা কাজ করছেন। অনেকেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন বলে আমার কাছে খবর রয়েছে। তবে সূত্রের খবর, ভাবনা চিন্তা করা হলেও পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।











