







করোনায় আক্রান্ত ২০ টি দেশে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে বিনামূল্যে ‘অ্যাভিগান’ ওষুধ পাঠাবে জাপান। জাপানের বিদেশমন্ত্রী তশিমিসু মোতেগি এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই। পৃথক আরেক সাংবাদিক বৈঠকে জাপানের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োহিশিদে সূগাও একই কথা বলেন। ২০ দেশের মধ্যে রয়েছে, বুলগেরিয়া, চেক রিপাবলিক, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, ইরান, সৌদি আরব ও তুরস্ক। দেশগুলিতে ক্লিনিক্যাল টেস্ট চলছে। আর সেই কারণেই এই ‘অ্যাভিগান’ পাঠানোর সিদ্ধান্ত সে দেশের সরকারের।




বিদেশমন্ত্রী মোতেগি বলেন, প্রাথমিকভাবে ২০টি দেশকে পাঠানো হলে, আর৩০ টি দেশ এই ওষুধ নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। সরকার বিষয়টি ভাবনাচিন্তার মধ্যে রেখেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। জাপানের ফুজিফিল্ম তয়োমা ফার্মাসিউটিক্যালস লি.-এর অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ হিসেবে পরিচিত ‘অ্যাভিগান’। ২০১৪ সাল থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় জাপানেই ব্যবহার হয়ে আসছে।




সম্প্রতি চিন সরকার দাবি করে, এই ওষুধ ‘কোভিড-১৯’ প্রতিরোধে ভাল কাজ দিয়েছে। এরপরই বিশ্বে ওষুধটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। করোনাভাইরাসের উপসর্গের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য অ্যাভিগান এর কার্যকারিতা যাচাই করে দেখতে জাপানের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে বলে কিছুদিন আগেই জানিয়েছে ফুজিফিল্ম তয়োমা কেমিক্যাল কোম্পানি। ওষুধটি ‘ফ্যাভিপিরাভির’ নামেও পরিচিত।




জাপানের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োহিশিদে সূগা বলেছেন, “সরকার অ্যাভিগান ওষুধটির ক্লিনিক্যাল গবেষণায় ইচ্ছুক দেশগুলির সঙ্গে আরও বিস্তারিতভাবে গবেষণা করতে চায়।” তাই জাপান সরকার বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধের অনুরোধ জানানো প্রতিটি দেশকেই তা সরবরাহ করবে বলে জানান সূগা।




ওদিকে বিদেশমন্ত্রী মোতেগি জানান, ক্লিনিক্যাল পরীক্ষাধীন ‘অ্যাভিগান’ করোনাভাইরাস কবলিত ২০ টি দেশে প্রাথমিকভাবে জাপান সরকার বিনামূল্যে সরবরাহ করবে। অ্যাভিগান কেনা ও বিতরণের জন্য জাপান রাষ্ট্রসংঘের তহবিলে ১০ লাখ মার্কিন ডলারও দেবে। ক্লিনিক্যাল গবেষণার অংশ হিসেবেই দেশগুলোতে ওষুধটি সরবরাহ করা হবে বলে জানান মোতেগি।











