







টিকা বা ওষুধ তৈরির একটার পর একটা সিঁড়ি ভেঙে চলেছেন গবেষকরা। প্রতি ধাপে তাঁদের সফলতা এলেও পিছনে পড়ে থাকছে হাজারে হাজারে মৃত মানুষ। বিশ্বজোড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৭৪ হাজার মত। এসবের মাঝেই সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের রক্ত নিয়ে নতুন পথের ইঙ্গিত পেলেন গবেষকরা।




বিবিসি জানাচ্ছে, বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা মনে করছেন, এদের রক্তে আছে এমন এক উপাদান, যা করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এর ফলে করোন আক্রান্ত যেসব মানুষ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ব্লাড ডোনেশন সেন্টারগুলিতে তাদের রক্ত নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।




রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা এই রক্ত ব্যবহার করে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় যে কৌশল অবলম্বনের কথা চিন্তা করছেন তাকে বলে কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি বেশ পুরোনো একটি পদ্ধতি। গবেষকরা এই পদ্ধতিতে সাধারণত কোন ভাইরাল সংক্রমণ থেকে সেরে উঠা মানুষের রক্ত সংগ্রহ করেন।




সেই রক্ত একই ধরনের ভাইরাল সংক্রমণের শিকার রোগীর দেহে প্রবেশ করানো হয়। ইবোলা, সার্সের মতো রোগের চিকিৎসায়ও এটি ব্যবহার করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিনে করোনাভাইরাসের মহামারি শুরু হওয়ার পর সেখানে প্রথম এমন পরীক্ষা চালানো হয়।চিনের ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ এই হাসপাতালে ৩৬- ৭৩ বছর বয়সী পাঁচ রোগীর দেহে এই পদ্ধতিতে চালানো চিকিৎসায় ১২ দিনেই সবাই পুরোপুরি সেরে উঠেছেন।




এই তত্ত্ব ভিত্তি করে করোনা আক্রান্ত এমন কেউ সম্পূর্ণ সুস্থ হলেই তাঁদের রক্ত সংগ্রহের হিড়িক লেগেছে।আমেরিকান রেডক্রস এমনই সম্ভাব্য রক্তদাতাদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি ওয়েবসাইট খুলেছে। এমন ব্যক্তিদের রক্ত নমুনা কয়েকট পরীক্ষার পরে সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই রক্তসংরক্ষণ করে গবেষকরা করোনাভাইরাস মেকাবিলার চাবিকাঠি খুঁজে পাবেন, এমনই আলোচনা বিশেষজ্ঞ মহলে।











