







কিছুদিন আগেও স্ত্রী’-সন্তান নিয়ে সুখের সংসার ছিল আল’ফ্রে’দো বারতুচ্চির। কিন্তু মাত্র দু’সপ্তাহেই শেষ হয়ে গেল সব। ক’য়েকদিনের ব্যব’ধানে একে একে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন সবাই।
জানা যায়, ইতালিতে করোনা সংক্রমণের হট’স্পট লোম্বার্দির ভোঘেরা শহরে থাকত পরিবারটি। করোনা আ’ক্রান্ত হয়ে গত ২৭ মা’র্চ প্রথমে মা’রা যান ৮৬ বছর বয়সী আলফ্রেদো। এর কিছুদি’নের মধ্যেই মা’রা যান তার দুই ছে’লে দানিয়েল (৫৪) ও ক্লদিও (৪৬)। মাত্র ১০ দিন আগেই অ’সু’স্থ হয়ে পড়েছিলেন তারা।




সবশেষ, ১ এপ্রিল মৃ’তের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন আলফ্রেদোর স্ত্রী’ ৭৭ বছর বয়সী অ্যাঞ্জে’লা। তিনিও স্বামী-সন্তা’নের সঙ্গে একই হাস’পাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, পরিবা’রটির সবারই জ্বর, কাশি ও শ্বা’সক’ষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিয়ে’ছিল।




স্থানীয় বাসিন্দা আন্তোনিও রিকার্দি বলেন, মাত্র দুই সপ্তা’হের মধ্যেই একটি প্রজন্ম পুরো শেষ হয়ে গেল। আম’রা আগে কখনোই এমনটা দেখিনি। এমন দৃ’শ্য দেখলে যে কারও চোখেই পানি আসবে!
করো’নাভাই’রাস মহামা’রিতে ইতালির মধ্যে সর্বো’চ্চ তো বটেই, সারা’বিশ্বের মধ্যেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত অঞ্চল লোম্বার্দি। আর মৃ’ত্যু’র ঘটনায় সবার ওপরে তারা।




জন হপ’কিন্স ইউনি’ভার্সিটির হিসাবে, ইতা’লিতে এপর্যন্ত অ’ন্তত ১ লাখ ৫ হাজার ৭৯২ জনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শ’নাক্ত হয়েছে। মা’রা গেছেন ১২ হাজার ৪২৮ জন। বিপরীতে সুস্থ হয়ে হাস’পাতাল ছেড়েছেন ১৫ হাজার ৭২৯ জন।
সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার











