







করোনাভাইরাসে বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করছেন অর্থাৎ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীতে মৃত্যু হলে তাঁদের শহিদের মর্যাদা দেবে দিল্লি সরকার৷ শুধু তাই নয়, তাঁর পরিবারকে ১ কোটি টাকা দেওয়া হবে বলেও জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷




বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে কেজরিওয়াল বলেন, ‘করোনা বিরুদ্ধে একজন সৈনিকের মতোই লড়াই করে চলেছেন চিকিত্সক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশবাসীকে বাঁচানোর দায়িত্ব নিয়েছেন তাঁরা৷’ একজন জওয়ান দেশের হয়ে লড়াই করতে গিয়ে শহিদ হলে দিল্লি সরকার তাঁর পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়।




একইভাবে কোনও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা মোকাবিলায় এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে তাঁদের শহিদের মর্যাদা এবং তাঁদের পরিবারের হাতে ১ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ তুলে দেবে আম আদমি পার্টি সরকার। কেজরিওয়াল এদিন বলেন, ‘আপনারা (স্বাস্থ্যকর্মীরা) জওয়ানদের থেকে কোনও অংশে কম নয়।’




টুইটারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করছেন যাঁরা, সেই স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি মানবসমাজের ঋণ অপূরণীয়। দূর্ভাগ্যবশত কোনও স্বাস্থ্যকর্মীর করোনাভাইরাসে মৃত্যু হলে, তাঁকে ‘শহিদের’ মর্যাদা দেওয়া হবে। আর তাঁর পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও দেবে সরকার। শুধু সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরাই নয়, বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরাও এই আওয়াত পড়বেন বলেন পরিষ্কার দেন কেজরিওয়াল৷




দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এদিন হাসপাতালে ঘুরে চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন৷ পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সবরকম সতর্কতা মেনে চলার নির্দেশ দেন কেজরিওয়াল৷ গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় সরকার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার জীবন বিমা ঘোষণা করেছে। করোনা আতঙ্কে লকডাউনে থাকা সারা দেশ যখন তাদের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে, তখন নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে অন্যদের চিকিৎসার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন চিকিত্সক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।




করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে তিন চিকিৎসক এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন৷ সারা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে৷ এ পর্যন্ত দেশে ১৬০০ জনের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ মারা গিয়েছেন ৩৮ জন৷











