







১৬ ডিসেম্বর রাত্রি ৯:৩০-এ। নির্ভয়া এবং তার বন্ধু ‘লাইফ অব পাই’ সিনেমা দেখে বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। মুনিরকা থেকে দ্বারকাগামী বাসটিতে তখন চালকসহ মাত্র ৮ জন যাত্রী। এর মাঝেই বাসের একজন সাহায্যকারী এস হঠাৎই তাদের বলে যে তারা দ্বারকা যাচ্ছেন। সন্দেহ গাঢ় হয় যখন বাসটি তার নির্ধারিত রুট ছেড়ে অন্য রুটে ঢুকে পড়ে।




তারা দুজনেই বিপদ বুঝতে পারেন। লক্ষ্য করেন বাসের যাত্রীরা তাদের দিকে সরে এসে বসে। এক কথায় তারা যেন ধীরে ধীরে ঘিরে ফেলছে ওঁদেরকে। ওঁরা দুজনেই জানতে চান যে বাসটি আসলে কোথায় যাচ্ছে এবং যাত্রীদের আচরণের প্রতিবাদ জানান। পাল্টা প্রশ্ন আসে যে তারা এত রাতে একসঙ্গে কি করছে? এরপরে কিছু বোঝার আগে পলকে লোহার রড দিয়ে দুজনকেই পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়।




নির্ভয়াকে বাসের এক কোনায় নিয়ে গিয়ে বেধরক মারধোর করা হয়। একে একে ড্রাইভার ছাড়া প্রত্যেকে তাঁকে ধর্ষণ করে। তারপর রাস্তায় ফেলে দেয়। ধর্ষণকারীরা দেহটি তাদের গাড়ি দিয়েও পিষে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। তারপর সেটিকে ফেলে যায় গ্রামের একটি পরিত্যক্ত জায়গায়।
চারদিন ধরে দেহটি ছিন্নভিন্ন অবস্থায় ওভাবেই পড়ে ছিল। তারপর যখন গ্রামবাসীদের কারও সেটি চোখে পড়ে, ততদিনে রাস্তার কুকুররা তার মাথার ও শরীরের নানা অংশ খুবলে খেয়ে নিয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা দেখতে পেয়েছেন, তার যৌনাঙ্গও ছিল ছিন্নভিন্ন। রোহটাক মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান এস কে ধাত্তরওয়াল জানান তার যৌনাঙ্গের ভেতর দিয়ে বাইরের কোনও ধাতব জিনিস প্রবেশ করানো হয়েছিল।




এর চেয়ে নৃশংস আর কি হতে পারে। তাও সেই রাতের মূল চার দোষীকে ফাঁসি দিতে সময় লেগে গেল আট বছর।











