







‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’-এর মহা আকাল। সেই সময়েই হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানিয়ে আকাল সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন সুরেন্দ্রনাথ কলেজের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও কর্মীরা। বানালেন প্রায় ৩০০ বোতল সেনিটাইজার। যা মুহূর্তে শেষ। সমস্যা এখানেই তাঁরা অভাব বোধ করছেন পরিমিত পরিমাণ অ্যালকোহল ও বোতল। সৌজন্যে মূলত কালোবাজারি।




কোভিড-নাইনটিন নিয়ে সচেতনতা ও সাবধানতা ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়তেই বাজার থেকে একরকম উধাও হয়ে গিয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। অনলাইন হোক কিংবা স্থানীয় দোকান অর্থ দিয়েও মিলছে হঠাৎ অমূল্য হয়ে যাওয়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এই অবস্থায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের রসায়ন বিভাগ। সুলভে অথবা বিনামূল্যে ওই বস্তু মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেও উদ্যোগী তাঁরা। বুধবার তাঁরা বানিয়েছিলেন ৫০ মিলিলিটারের ৩০০টি বোতল।




সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যায় সব বোতলগুলি। অধ্যাপক ইন্দ্রনীল কর জানিয়েছেন , ‘বৈঠকখানা বাজার রোডে আমরা শুধু স্যানিটাইজার বানিয়ে ছেড়েছিলাম, মুহূর্তে তা সব শেষ হয়ে যায়। ‘ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগ্যানাইজেসন’ এর নির্দেশিকা মেনে ওই স্যানিটাইজার বানিয়েছি। কিন্তু আমরা আরও কাজ করতে চাইছি, করতে পারছি না।’ সমস্যা কোথায় হচ্ছে ? অধ্যাপক জানিয়েছেন , ‘অ্যালকোহল একটা সমস্য কারণ। ওটা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে আমরা পাই। সেটার যোগান থাকলে অসুবিধা হবে না। কিন্তু এটার ব্যবস্থা হয়ে গেলেও কালোবাজারির জেরে পাচ্ছি না হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার বোতল। এটা যদি না পাই তাহলে বানিয়েও কোনও লাভ হবে না। আমরা আপাতত বোতল খুঁজছি। পেয়ে গেল কাজটা ভালভাবে মানুষের স্বার্থে কাজ করতে পারব বলে আমরা মনে করছি।’











