







চিন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের হামলায় বিশ্বজুড়ে ৫০০০ জনের বেশি মৃত। চিনেই মৃত তিন হাজারের বেশি, আর ইতালিতে সেই সংখ্যা ১০০০ পেরিয়েছে। এছাড়া ইরান ও অন্যান্য দেশ মিলিয়ে আরও মৃত্যুর পরিসংখ্যান আসছে। করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার। মৃত ও আক্রান্তের অধিকাংশই চিন, ইতালির বাসিন্দা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে বুধবার বিশ্ব মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। কোনওভাবেই এই ভাইরাসের প্রতিষেধক বের করা যায়নি।




একমাত্র গণস্বাস্থ্য় কর্মসূচি নিয়ে জনগণের মধ্যে জীবাণু নাশক বিলি ও ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এই ভাইরাস সমক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। চিনের প্রতিবেশী ভুটান ও চিনেরই স্বশাসিত অঞ্চল হংকং এমন পদক্ষেপ নেওয়ায় ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে পেরেছে বলেই খবর। তবে ১৩২টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। এদিকে চিন সরকারের দাবি,করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও তার জেরে মৃত্যুর হার কমছে।




স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের রিপোর্ট, শুক্রবার পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষকে সুস্থ করা সম্ভব হয়েছে। গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকেকরোনাভাইরাস ছড়ায় চিনে। তারপর প্রথমদিকে এটি চিনেই মরণকামড় বসাতে থাকে। পরে চিন থেকেই এই ভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে।




অন্যদিকে, ইতিমধ্যে ভারতে ৮৩ জনের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাস। ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তে হয়ে দু’জনের মৃত্যুও হয়েছে। পরিস্থিতির বিচার করে শনিবার সন্ধেয় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মারণ করোনা ভাইরাস। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতেও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে মারণ এই ভাইরাস। পরিস্থিতির মোকাবিলায় একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার সন্ধেয় ক্যাবিনেট বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। কীভাবে বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে তা নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হবে।




এরই পাশাপাশি কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। করোনার সংক্রমণ রুখতে যাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে কোনও ঔদাসীন্য না থাকে সেব্যাপারেই প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে আবারও কথা বলে নিতে চান প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে করোনা সংক্রমণ রুখতে বিশেষজ্ঞদেরও পরামর্শ নিতে চান নরেন্দ্র মোদী। মারণ এই ভাইরাসের কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব, কথা বলে তা জেনে নিতে চান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে।











