তিনি তখন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। পুলওয়ামার ৪০ শহিদের আত্মত্যাগের বদলা নিতে পাকিস্তানের আকাশসীমা পার করার সাহস দেখায় ভারত। বিশ্বের কাছে নজির গড়ে ভারতের প্রতিরক্ষা। আর এই মুহূর্তে তিনি দেশের অর্থমন্ত্রী। অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতি ঘাড়ে নিয়েই দায়িত্ব সামলে যাচ্ছেন তিনি। তাই নারীদিবসে যখন মহিলাদের অবদান আর তাঁদের সম্মানের প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিচ্ছে তখন কার্যত ইতিহাস গড়ার সাহস দেখিয়েছেন মোদী সরকারের এই মহিলা মন্ত্রী। একজন প্রশিক্ষিত ইকোনমিস্ট হওয়ার পাশাপাশি তিনি চাকরিও করেছেন বেসরকারি সংস্থায়।
তিরুচিরাপল্লীর সীতালক্ষী কলেজ থেকে স্নাতক হন তিনি। এরপর জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর। সেখানেই আলাপ পরাকলা প্রভাকরের সঙ্গে। অন্ধ্রপ্রদেশের মন্ত্রীর ছেলে প্রভাকরকে বিয়ে করে লন্ডনে পাড়ি দেন সীতারামন। পরাকলা প্রভাকর সেখানে পিএইচডি করছেন তখন। একটি দোকানে সেলস গার্লের কাজ নেন নির্মলা। পরে বিবিসি রেডিওর তামিল ভাষায় অনুবাদকের চাকরি পান। এরপর প্রাইস ওয়াটার হাউস ফর্মে চাকরি করেন বেশ কিছুদিন। সেলস গার্ল থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এরপর অর্থমন্ত্রী। তাঁর জীবন সত্যিই অনুপ্রেরণা দেয়।
১৯৯১ তে তাঁরা সন্তানকে নিয়ে ভারতে ফেরেন। এখানে এসে নির্মলা সীতারামনকে সঙ্গে নিয়ে একটি স্কুল খোলেন তাঁর স্বামী। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যও ছিলেন নির্মলা। ২০০৫ সালে কমিশনে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। প্রভাকরের পরিবার বরাবর কংগ্রেসী হওয়া সত্ত্বেও নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দেন নির্মলা।
২০১০ এ বিজেপির মুখপাত্র নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০১৪ নির্বাচনে সফল হয়ে মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্য হন। আজ তিনি দেশের মন্ত্রী। ছ’ঘন্টা ঘুমিয়ে দিন শুরু করেন তিনি। সকালে উঠে চোখ বোলান ৯টি সংবাদপত্রে। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীই শুধু নয়, একজন সফল মহিলা হিসেবেও তাঁর পরিচিতি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।