







তাপস পাল বাংলা সিনেমার পাশাপাশি হিন্দি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। আর এই তাপস পালের হাত ধরেই বলিউডের ‘ধক ধক গার্ল’ মাধুরী দীক্ষিত পা রাখেন বলিউডে। রাজশ্রী প্রোডাকশনের অবোধ (১৯৮৪) ছবিতে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তাপস পাল। তখন মাধুরী দীক্ষিত বলিউডে স্ট্রাগল করছেন। আর সেই ছবিতেই তাপস পালের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। তবে এই ছবিটি বক্স অফিসে তেমন সাড়া ফেলতে না পারলেও তাপস পাল ও মাধুরী দীক্ষিতের জুটি প্রশংসনীয় হয়। এর পরেই মাধুরী দীক্ষিত তেজাব সিনেমায় মূল নায়িকার চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।




‘সাহেব’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পান তিনি। এরপর ডাক পান বলিউডে। মাধুরী দীক্ষিতের প্রথম ছবিতে নায়ক ছিলেন তাপস পাল। ‘১৯৮৪-তে মাধুরীর বিপরীতে ‘অবোধ’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। মাধুরী সেখানে সদ্য বিয়ে হওয়া এক সরল মেয়ে। আর তাপস পাল তাঁর স্বামী। বিয়ের মানেই বোঝে না মাধুরী। তাঁর চরিত্রের নাম ছিল ‘গৌরী।’ আর তাপস পাল তাঁর স্বামী ‘শঙ্কর।’




তাপস পাল অভিনীত ছবিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলা ছবিগুলি হলো দাদার কীর্তি (১৯৮০), সাহেব, অনুরাগের ছোঁয়া, পারাবত প্রিয়া, ভালোবাসা ভালোবাসা, গুরুদক্ষিণা (১৯৮৭), অর্পণ (১৯৮৭), সুরের সাথী (১৯৮৮), সুরের আকাশে (১৯৮৮), নয়নমনি (১৯৮৯), চোখের আলোয় (১৯৮৯), শুভ কামনা (১৯৯১), মায়াবিনী (১৯৯২), তবু মনে রেখো (১৯৯৪), উত্তরা (২০০০) ও মন্দ মেয়ের উপাখ্যান (২০০২), ইত্যাদি। ২০১৩ সালে তাঁর শেষ ছবি ‘খিলাড়ি’। দাদার কীর্তি, সাহেব, গুরুদক্ষিণা, অনুরাগের ছোঁয়া, ভালবাসা ভালবাসা, আগমন, মঙ্গলদীপ সহ তাঁর একাধিক ছবি দর্শকের মন জয় করেছে। সাহেব ছবির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান।




২০০৯ সালে রাজনীতিতে আসেন তাপস পাল। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত হন কৃষ্ণনগর থেকে। এরপর রাজনৈতিক জীবনে এসে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে যান।
রাজনীতিতে থাকাকালীন আচমকাই রোজভ্যালি কাণ্ডের সঙ্গে নাম জড়িয়ে যায় তাপস পালের। রোজভ্যালি কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর সিবিআই হেফাজতে নেয় তাপস পালকে। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ভুনেশ্বরে।
দীর্ঘদিন ভুবনেশ্বরের জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। সেখান থেকে বেরনোর পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।











