







চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটেছে বুধবার। ওইদিন দেশটিতে করোনা আক্রান্ত কমপক্ষে ২৫৪ জন মারা গেছেন।
এদিকে প্রাণহানি ও নতুন করে হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় হিমশিম খাচ্ছেন ভাইরাসটি আতুরঘর উহানে অবস্থান নেয়া চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বেইজিংসহ অন্য সব প্রদেশ থেকে নতুন করে চিকিৎসক এবং নার্স হুবেইয়ে পাঠানো হচ্ছে।




তবে হুবেই যাওয়ার আগে চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যে মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক পড়েছে।
এ বিষয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়ার সময় যাতে নিজেরা এ ভাইরাসে আক্রান্ত না হন; সেজন্য চীনের চিকিৎসক এবং নার্সরা তাদের চুল ছোট করে ফেলছেন। অনেকে ন্যাড়া করে ফেলছেন।
সংস্থাটি আরো জানায়, হুবেই প্রদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সেবা ও নতুন করে যেন কেউ আক্রান্ত না হন সে চেষ্টায় গত ২ মাস ধরে অক্লান্ত শ্রম দিয়ে গেছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। টানা ডিউটি পালন করতে গিয়ে অনেক চিকিৎসক ও নার্স অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই তাদের অনেককে বেইজিংয়ে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং নতুন করে চিকিৎসক এবং নার্স হুবেইয়ে পাঠানো হচ্ছে।




করোনাভাইরাস থেকে রেহাই পেতে আর সময় বাঁচাতে চুলকে ছেটে ফেলছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহের মধ্যে মঙ্গলবার দেশটিতে সর্বনিম্ন আক্রান্ত হয় এবং মৃত্যুর সংখ্যাও আগের দিনের চেয়ে কম হয়। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কম হওয়ায় অনেকটাই আশার আলো জাগে বিশ্বজুড়ে। কিন্তু বুধবার থেকে ভাইরাস শনাক্তকরণে নতুন পদ্ধতি অবলম্বনে আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
এতোদিন ধরে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য শুধু আরএনএ পরীক্ষার ওপর নির্ভরশীল ছিল। এতে রিপোর্ট পেতে কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হতো।
বুধবার থেকে দ্রুত করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হতে সিটি স্ক্যান শুরু করা হয়। যার ফলে বৃহস্পতিবার হুবেইয়ে ১৪ হাজার ৮৪০ জনকে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।




বৃহস্পতিবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলছে, গত ডিসেম্বর উৎপত্তির পর থেকে বুধবার পর্যন্ত শুধু চীনেই এক হাজার ৩৬৭ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।
প্রসঙ্গত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসের নামকরণ করেছেন কোভিড-১৯। এ ভাইরাসে আরও লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।











