হাতের লেখা নিয়ে কত কথাই ছেলেবেলায় শুনতে হয়েছে আমাদের। কত উপদেশ, পরামর্শ। ব্যাপারটা স্বাভাবিক। সুন্দর হস্তাক্ষর পড়তে কার না ভালো লাগে! চোখেরও আরাম। কিন্তু কতটা সুন্দর করা যায় হাতের লেখা?
রাজা-রাজরাদের আমলে লেখার জন্য আলাদা লোক থাকত। তাঁদের বলা হত লিপিকার। কবি বা পুরাণকার বলে যেতেন, আর লিপিকাররা তা লিখে রাখতেন সুন্দর হস্তাক্ষরে। ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে খোঁজ করলে আজও সুন্দর হস্তাক্ষরে লেখা চিঠিপত্র, দলিল দস্তাবেজ মিলবে।
কিন্তু সেই সব কিছ ছাপিয়ে গেল এক ১৪ বছরের এক কিশোরীর হাতের লেখা। লিপিকারদেরও বলে বলে ১০ গোল দিতে পারে তার হস্তাক্ষর।
তার নাম প্রকৃতি মাল্ল্য। বয়স মাত্র ১৪ বছর। নেপালের সৈনিক ওয়াসিয়া মহাবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সে।
তার অসাধারণ হাতের লেখা দেখে কাত সারা বিশ্ব। ‘প্রকৃতির হাতের লেখা’ বলে না দিলে ছাপা হরফ বলে ভুল হতে বাধ্য। কয়েকদিন আগে প্রকৃতির এক পাতা হাতের লেখার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছিলেন জনৈক ব্যক্তি।
কয়েক ঘণ্টার তা ভাইরাল। গোটা দুনিয়া ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই পোষ্টে। লাইক, শেয়ারের বন্যা বয়ে যায়। রাতারাতি প্রচারের আলোয় চলে আসেন প্রকৃতি।
হস্তাক্ষর বিশারদেরাও প্রকৃতির হাতের লেখা দেখে অবাক। প্রতিটি অক্ষরের গড়ন এবং মাপ প্রায় নিখুঁত। দুটি শব্দের মাঝের ফাঁকও সমান। নেপাল সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে প্রকৃতির এই হাতের লেখাকে। বলা হচ্ছে, নেপালের সেরা হস্তাক্ষর।
দেশের গৌরব বৃদ্ধির জন্য নেপাল সশস্ত্র বাহিনী পুরস্কৃত করেছে তাকে। সব মিলিয়ে, অসাধারণ হাতের লেখার জন্য এখন সোশ্যাল মিডিয়ার নয়া তারকা প্রকৃতি মাল্ল্য।প্রকৃতির হাতের লেখা তাকে এতটাই জনপ্রীয় করে তুলেছে যে, এখন হাতের লেখার চর্চাকারীরা তার হাতের লেখা থেকে অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন।