স্বজনদের মধ্যে কারো ক্যান্সার হওয়ার কথা জানলে যেন আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়। আর ত্বকের ক্যান্সার ম্যালানোমা হলে তো সেই ভয় আরো কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কয়েক বছর আগেও এই রোগের তেমন কোনো চিকিৎসা ছিল না।
মাত্র ১০ বছর আগেও ম্যালানোমা আক্রান্ত ব্যক্তিকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার পর ২০ জনে কেবল একজন বেঁচে যাওয়ার ঘটনা ঘটতো। বেঁচে যাওয়া মানুষ কেবল পাঁচ বছর বাড়তি বেঁচে থাকতে পারতেন। অন্যদিকে আক্রান্ত অন্যরা কয়েক মাসের মধ্যেই মারা যেত।
কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাণে বেঁচে যাচ্ছে ম্যালানোমা আক্রান্ত রোগীরা। ওষুধে কাজ করছে ৫২ শতাংশের বেশি। কেবল যুক্তরাজ্যে প্রতি বছর এ রোগে আক্রান্ত হয় দুই হাজার তিনশ জনের বেশি।
প্রাথমিক অবস্থায় রোগটি ধরা পড়লে দ্রুত সারিয়ে তোলা যায়। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, এই রোগটি ক্যান্সারের অন্য ধরনের চেয়ে আলাদা। ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার আগে চিকিৎসা করলে রোগটি সেরে যায়।
নতুন ওষুধ ব্যবহারের পর পাঁচ বছর পরেও সুস্থ থাকছেন রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা ব্যক্তিরা। তবে ওই ওষুধ ব্যবহারের ফলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। এই যেমন, ডায়রিয়া, গায়ে র্যাশ ওঠা এবং চুলকানি হতে পারে।
আর এই রোগের ওষুধটিও পাওয়া যায় বিশ্বব্যাপী। কিডনি কিংবা ফুসফুসের ক্যান্সারেও এ ওষুধ ব্যবহার হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগটি যেহেতু দ্রুত বিস্তার লাভ করা, সেজন্য দেরি না করে চিকিৎসা শুরু করা দরকার।
সূত্র : বিবিসি